মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমার খালী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মধ্যে আহত ১৫জন হয়েছে।আহত দুই পক্ষে ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।এবং
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার ( ১৮) এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের দীর্ঘদিন যাবত ধরে পূর্ব শত্রুতা দুটি প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।একদিকে রয়েছেন নয়ন খাঁ ও আবুতারা মাতুব্বর এরা এলাকার দুই দলে নেতৃত্ব দেন।
তিনদিন আগে মোকলেস পক্ষের সাবেক মেম্বার জিন্নাত খালাসী তার পারিবারিক কবরস্থানে মাটি ভরাট করেন। এতে কিছু মাটি গিয়ে প্রতিপক্ষ রমজান মাতুব্বরের জমিতে পড়ে। এবিষয় নিয়ে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ নিয়ে উঠান বৈঠক করে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ১৮ এপ্রিল পূর্ব শত্রুতা জের ধরে মাথাপাড়া ব্রীজর উপরে মোকলেস মাতুব্বর কে বিপক্ষে কয়েকজন যুবক মারধর করে।
এবিষয় নিয়ে এলাকায় পরবর্তীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এর বিরোধের জের ধরে এরপরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ঢাল, কাতরা, টেটা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে এলাকার জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হলেন,মজিবর হাওলাদার (৬০) ও মাসুম হাওলাদার (২৫)-নামক এর পিতা পুত্রকে দুই জন কে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন
মুসুম হাওলাদার (১৭)ইসরাফিল (৪৫), পান্না বেগম (৪০), রিয়াদ মাতুব্বর (১৯), মজিরব খালাসী (৫৫), বিউটি বেগম (৫০), রাবেয়া বেগম (৩৫), সামাদ মাতুব্বর (৪৮), রাকিবুল (১৮) ও মোসলেম মাতুব্বর (৪০)। তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এ এবিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।